শরীয়তপুরে অবস্থিত সোনালী ব্যাংক শাখা
বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলায় অবস্থিত সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের মোট ৭টি শাখা রয়েছে। শরীয়তপুর জেলার সমস্ত সোনালী ব্যাংক শাখার তথ্য নিম্নলিখিত সারণীটিতে আপনাকে অবস্থান, টেলিফোন নম্বর, রাউটিং নম্বর, সুইফট কোড এবং অন্যান্য সম্পর্কিত তথ্যসহ যে কোন নির্দিষ্ট শাখার ঠিকানা দেখতে সহায়তা করবে।
শাখার নামগুলি ক্লিক করলে আপনাকে সরাসরি শাখার তথ্য দেখাবে। আমরা শাখার নাম অনুসারে তালিকাটি ইংরেজী বর্ণানুক্রমিক ভাবে সাজিয়েছি।
Branch Name | Address | Telephone |
---|---|---|
Angaria Bazar | Angaria, Shariatpur Sadar, Shariatpur 8001 | 0601 55647 |
Bhedarganj | Bhedarganj, Shariatpur | 0601 55851, 55846 |
Damudya | Damudya, Shariatpur | 06023 56132 |
Gosairhat | Gosairhat, Shariatpur | 06024 75013 |
Naria | Naria, Shariatpur | |
Shariatpur | Shariatpur Sadar, Shariatpur | 0601 55641 |
Zajira | Zajira, Shariatpur | 0601 55837, 55845-7 |
বিঃদ্রঃ শাখা পরিষেবার সময়গুলি পৃথক হতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের যে কোন কিছু বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই পরিবর্তন হতে পারে। উপরে প্রদর্শিত ব্যাংক এবং শাখা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ওয়েবসাইট বা প্রোফাইল থেকে সংগ্রহ করা হয়। এই পৃষ্ঠায় কোনও ভুল বা অসম্পূর্ণ শাখার তথ্য পাওয়া গেলে অল ব্যাংক বিডি দায়ী নয়। যদি কোনও ভুল তথ্য পাওয়া যায় তবে দয়া করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন যাতে আমরা খুব কম সময়ে ডাটাবেস আপডেট করতে পারি।
হিসাব খোলার নিয়মাবলী
১. আঠার (১৮) বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সের চুক্তি করার যোগ্যতা সম্পন্ন যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক নিজ নামে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর যে কোন শাখায় এ হিসাব খুলতে পারবেন। পিতামাতা/আইনগত অভিভাবকের সাথে নাবালক/নাবালিকার নামেও এ হিসাব খোলা যাবে।
২.আমানতকারী এবং নমিনীর দুই (২) কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি।
৩. হিসাব খোলার সময় হিসাধারীর ও নমিনীর জাতীয় পরিচয় পত্র/জন্ম নিবন্ধন পত্র/জাতীয়তা সনদপত্রের সত্যায়িত কপি প্রদান করতে হবে।
হিসাবের বিপরীতে ঋণ সুবিধা
১. ঋণের সীমা, তাৎক্ষনিক নগদায়ন মুল্ল্যের সর্বোচ্চ ৯০%
২. ঋণের সময়কাল ১২ মাস
৩. মুনাফার হার ১৪ %
৪. ঋণের মেয়াদের মধ্যে কিস্তিতে অথবা এককালীন পরিশোধযোগ্য
৫. প্রধান কার্যালয় ইস্তেহার নং-৫৪ তারিখ ১৩/১২/২০০৯ অনুসারে দলিলপত্রাদি নিতে হবে
৬. ঋণ প্রদানের পর ঋণ হিসাবের মেয়াদের মধ্যে স্কীমের কিস্তি নিয়মিত জমা করতে হবে। কোন কিস্তি জমা দিতে ব্যর্থ হলেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ স্কীমের আমানত স্থিতি হতে ঋণের বকেয়া সমন্বয় করে হিশাবটি বন্ধ করে দিতে পারবে – এ মর্মে লেটার অব অথরিটি গ্রহন করতে হবে।
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর ইতিহাস
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। বাংলাদেশ ব্যাংক্স (ন্যাশনালাইজেশন) অর্ডার ১৯৭২, রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ নম্বর ২৬, ১৯৭২ অনুসারে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, ব্যাংক অব বাহ্ওয়ালপুর এবং প্রিমিয়ার ব্যাংক নিয়ে ‘সোনালী ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ও সেবার মান উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যাংকিং কর্মকান্ডকে আরো গতিশীল করার নিমিত্ত যৌথ মূলধনী কোম্পানী ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের পরিদপ্তরে ০৩ জুন, ২০০৭ তারিখে “সোনালী ব্যাংক লিমিটেড” নামে কোম্পানী নিবন্ধন এবং ৫ জুন, ২০০৭ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর অনুকূলে ব্যাংকিং লাইসেন্স প্রদানের পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেড-এর মধ্যে “ভেন্ডর এগ্রিমেন্ট” সম্পাদনপূর্বক ১৫ নভেন্বর, ২০০৭ তারিখ হতে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কোম্পানী হিসেবে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে।
ব্যাংক ব্যবসার প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি দেশের আপামর জনসাধারণকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা এবং সুদৃঢ় অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রয়াসে “সোনালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড” নামে সাবসিডিয়ারী কোম্পানী গঠনপূর্বক ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ হতে মার্চেন্ট ব্যাংকিং এর ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
২৯ জুন, ২০১০ তারিখ থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও বগুড়ায় ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডোর মাধ্যমে শরীয়াহ্ ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তাছাড়া “সোনালী ফাউন্ডেশন” গঠনের মাধ্যমে কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি এর দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে।
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর শাখার সংখ্যা বর্তমানে ১২২৬ টি। এর মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে ১২২৪টি এবং বিদেশে ২টি শাখা রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে ১২১২টি শাখার মধ্যে গ্রামাঞ্চলে রয়েছে ৭৪৫টি এবং অবশিষ্ট ৪৬৭টি শহরাঞ্চলে। সকল শাখার মধ্যে ৪৫টি শাখার (অথরাইজড ডিলার বা এডি শাখা) মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বিদেশে ২টি শাখার মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতায় ১টি ও শিলিগুড়িতে ১টি। ব্যাংকের প্রশাসনিক ও ব্যবসায়িক কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত রয়েছে ১১টি জেনারেল ম্যানেজার’স অফিস, ৪৬টি প্রিন্সিপাল অফিস ও ১৬টি আঞ্চলিক কার্যালয়। প্রধান কার্যালয়ের ৪৫টি বিভাগের মাধ্যমে ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সোনালী ব্যাংকে কম-বেশি ১.২৫ কোটি বিভিন্ন ধরনের গ্রাহকের হিসাব রয়েছে।
ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজে দক্ষতা আনয়নের জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ঢাকায় “সোনালী ব্যাংক স্টাফ কলেজ” সহ চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বগুড়া ও ময়মনসিংহে ১টি করে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট রয়েছে।
আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং অঙ্গনে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সোনালী এক্সচেঞ্জ কোম্পানী ইনকর্পোরেটেড (SECI) নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সাবসিডিয়ারী কোম্পানী স্থাপন করা হয়। ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে উক্ত এক্সচেঞ্জ কোম্পানীর ৯টি শাখা রয়েছে।
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যৌথ মালিকানায় ২০০১ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে সোনালী ব্যাংক (ইউকে) লিঃ এর কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে এর ৬টি শাখা রয়েছে।
সৌদি আরবের রিয়াদ ও জেদ্দা এবং কুয়েত এ ব্যাংকের নিজস্ব প্রতিনিধি অফিস রয়েছে। মালয়েশিয়ার ‘মে ব্যাংক’ ও IME(M) SDN, BHD’-এর মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সহযোগিতায় মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশীদের প্রেরিত অর্থ দেশে আসছে। কোন শাখায় হিসাব নম্বর না থাকা সত্বেও WESTERN UNION, IME, TRANSFAST, EXPRESS MONEY এর রেমিট্যান্স SPOT CASH, CASH OVERT THE COUNTER পদ্ধতিতে এবং অন্যান্য ব্যাংক / EXCHANGE HOUSE-এর রেমিট্যান্সের টাকা পরিশোধ করা হয়। মধ্য প্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের ৫৫টি ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউজের সাথে সোনালী ব্যাংকের রয়েছে রেমিট্যান্স ব্যবসা। বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য ব্যাংকের ৪৫টি অনুমোদিত শাখা এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৬১৭টি বৈদেশিক করেসপন্ডেন্টস এর মাধ্যমে ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ব্যাংকের রয়েছে বিরাট সংখ্যক দক্ষ জনবল। এই জনবল নিয়ে ব্যাংক ব্যবসার উন্নয়ন এর পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে গতিশীল করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। বর্তমানে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড-এ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা মোট ১৮,১৬৭ জন। এর মধ্যে কর্মকর্তার সংখ্যা ১৭,৪০৬ জন এবং কর্মচারীর সংখ্যা ১৪০০ জন।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড সর্বক্ষেত্রে আত্মনিবেদিত হয়ে কাজ করে আসছে। জনসাধারণকে সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধকরণে বিভিন্ন ধরনের আমানত প্রোডাক্ট প্রবর্তন করা হয়েছে। দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়ন ঘটিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে কৃষি ও শিল্প প্রকল্প ঋণ, আমদানী- রফতানী ঋণ, কৃষিঋণ, ক্ষুদ্র ব্যবসা ঋণ, এসএমই ঋণ, ভোগ্যপণ্য ঋণসহ বিভিন্ন ঋণ স্কীমের মাধ্যমে শহর ও গ্রামাঞ্চলের জনসাধারণকে সহায়তা প্রদান করে আসছে।
সোনালী ব্যাংক জনসাধারণের দৈনন্দিন ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি যেসব স্থানে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা নেই সেসব স্থানে সরকারের পক্ষে সরকারি ট্রেজারী কার্যক্রম পরিচালনা করে।
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন ও অবসরভাতা প্রদান, সরকারী ও বেসরকারী স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনভাতা প্রদান, ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান, সামাজিক নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন ভাতা প্রদান, সরকারি সঞ্চয়পত্র ক্রয়-বিক্রয়, সরকারি খাদ্যশস্য ক্রয় বিল পরিশোধ, বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের বিল গ্রহণ, সরকারি রাজস্ব আদায় কার্যক্রম, হজ্জ্ব ও জাকাত ফান্ডের অর্থ গ্রহণসহ সামাজিক কর্মকান্ডের (CSR) মাধ্যমে আপামর জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করে আসছে।
পরিচালনা পদ্ধতি
ব্যাংকটি ৮ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ ও একটি দক্ষ পরিচালনা কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয়। পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান।
সোনালী ই-সেবা
সোনালী ব্যাংক ২০২০ সালের ৩ জুন ‘সোনালী ই-সেবা’ নামে স্মার্টফোনভিত্তিক একটি অ্যাপ চালু করে যেটি ব্যবহার করে গ্রাহকদের সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলতে আর ব্যাংকে যেতে হবে না। অ্যাপস থেকেই দুই মিনিটেই অ্যাকাউন্ট খোলা ও চালু করা যাবে। গ্রাহকেরা ছবি এবং ব্যক্তিগত তথ্যের বিবরণী অ্যাপসে দিলেই আইসিটি বিভাগের ‘পরিচয়’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র সার্ভার থেকে সেগুলো যাচাই করে নেওয়া যাবে। একইসঙ্গে অন্যান্য তথ্য (কেওয়াইসি) বাংলাদেশ জাতীয় ডিজিটাল আর্কিটেকচারের সাথেও মিলিয়ে নেওয়া যাবে।
প্রাথমিকভাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে সামজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতার ভাতাভোগী (বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা ইত্যাদি), গার্মেন্টস শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশাচালক, কৃষক, ট্যাক্সি ড্রাইভার, মৎসজীবী, চাকরিজীবী (বেতন), পেনশনভোগীসহ সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ব্যাংক হিসাব খোলা যাবে।
পরবর্তী সময়ে অন্যান্য ধরনের ব্যাংক হিসাব খোলা এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বর্তমানে শুধু গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপটি পাওয়া যাচ্ছে তবে ভবিষ্যতে আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে অ্যাপ প্রকাশ করা হবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সোনালী সঞ্চয় স্কীম |
|||
Sonali Deposit Scheme (SDS) |
|||
ক) | হিসাবের মেয়াদকাল | : | ৫ (পাঁচ বৎসর) |
খ) | মাসিক কিস্তির পরিমাণ | : | ৫০০ টাকা, কিংবা ইহার গুনীতক সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা |
গ) | সুদের হার | : | বার্ষিক ৮.৫০ শতাংশ ( চক্রবৃদ্ধি হারে) |
ঘ) | কিস্তি প্রদানের তারিখ | : | প্রতি মাসের ১৬ হইতে ২৫ তারিখের মধ্যে। অগ্রিম কিস্তি জমা দেবার সুবিধা আছে। |
ঙ) | হিসাব খোলার নিয়মাবলীঃ | : | -১৮বা তদূর্ধ্ব বয়সের সুস্থ যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক এই হিসাব খুলতে পারবে। – হিসাব খোলার সময় গ্রাহকের সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের ২কপি সত্যায়িত ছবি লাগবে। – নমিনী বাধ্যতামূলক। |
চ) | কিস্তি খেলাপী হলেঃ | : | নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে মাসিক কিস্তি জমা দানে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত ফিসহ পরবর্তী মাসের কিস্তির সঙ্গে খেলাপী কিস্তি জমা দেয়া যাবে। |
ছ) | পর পর ২(দুই) মাসের কিস্তি খেলাপী হলে হিসাবটি | : | প্রতি ১০০.০০ টাকা কিস্তির প্রতি মাসে সুদ ১.০০ টাকা এবং পুনঃচালুকরণ ফি বাবদ প্রতি বারের জন্য প্রতি ১০০.০০ টাকায় ৫.০০ টাকা এবং ৬মাসের বেশী খেলাপী হলে জরিমানার অতিরিক্ত হিসেবে প্রতি হিসাবে ১০০.০০ টাকা আদায়পূর্বক ব্যবস্থাপকের অনুমোদনসাপেক্ষে হিসাবটি পুনরায় চালু করা যাবে |
জ) | মেয়াদপূর্তির পূর্বে হিসাব বন্ধ করা হলে | : | – হিসাব খোলার ১(এক) বছর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হিসাব বন্ধ করা হলে শুধুমাত্র জমাকৃত মূল টাকা ফেরত দেয়া হবে। – হিসাবের মেয়াদ ১(এক) বছরের অধিক কিন্তু ৩(তিন) বছর পর্যন্ত ৫% হারে সরল সুদসহ জমাকৃত টাকা ফেরত দেয়া হবে। – হিসাবের মেয়াদ ৩(তিন) বছরের অধিক কিন্তু ৫ বছরের কম হলে ৬% হারে সরল সুদসহ জমাকৃত টাকা ফেরত দেয়া হবে। |
ঝ) | ঋণসুবিধা | : | তাৎক্ষণিক নগদায়ন মূল্যের সর্বোচ্চ ৯০% । সুদের হার আমানত হিসাবে প্রদত্ত সুদ হারের ২% উর্দ্ধে। |
ঞ) | বোনাস সুবিধাঃ | : | হিসাব খোলার পর থেকে কোন কিস্তি খেলাপী না হলে মেয়াদ পূর্তী শেষে নির্ধারিত হারে বোনাস প্রদান করা হবে। |
২মিনিটে ঘরে বসেই সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট
সোনালী ব্যাংক লিমিটেডে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এখন আর সরাসরি ব্যাংকে যেতে হবে না। মুঠোফোন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে দুই মিনিটে ঘরে বসেই খোলা যাবে অ্যাকাউন্ট। ‘সোনালী ই-সেবা’ নামের ওই সেবার উদ্বোধন করেন সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ।
বুধবার বেলা তিনটার দিকে ভিডিও কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্ম জুম-এ এক অনলাইন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আতাউর রহমান প্রধান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১১ বছর আগে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন, তখন মনে হতো এটা অলীক কল্পনা। কিন্তু আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন তা দৃশ্যমান। সরকারের প্রায় ৬০০ রকম সেবা এখন অনলাইনে আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে দিতে পেরেছি। ২০২১ সালের মধ্যে বর্তমান সরকার ২ হাজার ৮০০ ধরনের সেবা ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সবচেয়ে বড় ব্যাংক। সোনালী ই–সেবা অ্যাপ্লিকেশন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় করতে পারা প্রশংসার দাবি রাখে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী।
চেয়ারম্যান বলেন, বিভিন্ন ধরনের ভাতাসহ নানা ধরনের সেবা নিতে আসা মানুষের যে ভিড়, তাতে ব্যাংকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই পরিচালনা পর্ষদ অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। এ ক্ষেত্রে সোনালী ই-সেবা অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যাংকটির নিজস্ব জনবল ও ব্যবস্থাপনায় তৈরি করেছে। সোনালী ব্যাংক লিমিটেডকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা সোনালী ব্যাংকের ডিজিটালাইজেশনের যেসব উদ্যোগ নিচ্ছি, তা অচিরেই দৃশ্যমান হবে।’
দুই মিনিটে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য গুগল প্লে-স্টোরে গিয়ে সোনালী ই–সেবা নামে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। এরপর অ্যাকাউন্ট খুলতে ইচ্ছুক ব্যক্তি নির্দেশনামতো মুঠোফোন নম্বর দেবেন। নম্বরটি ভেরিফিকেশনের পর গ্রাহকের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মতারিখ লিখতে হবে। এভাবে অ্যাপের নির্দেশনামতো দুই মিনিটে খোলা যাবে অ্যাকাউন্ট।
[…] Shariatpur […]